A Complete Career Guidelines For CSE Students.
যারা ডিপ্লোমায় পড়তেছেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই :: বিশেষ করে কম্পিউটার টেকনোলোজিতে যারা পড়াশোনা করতেছেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে।
It's a first & complete package for those students who cannot decide.
You are on right way. Keep patience till the post read fully, don't miss.
Read the post carefully, you can gather valuable information in 1 hour.
যাদের ইচ্ছে আছে জীবনে ভালো কিছু করার তাহলে আর দেরি নয় এখন থেকেই শুরু করা দরকার। বর্তমানে আমরা ChatGPT, Gemeni, Capilot এর মত আরো কত শত শত AI এর যুগে বসবাস করতেছি। এতে করে অনেক কঠিন কঠিন কাজ কতটাই না সহজ হয়ে গেছে। ক্যান ইউ ইমাজিন! তাহলে সামনে আরো কত যে AI আসবে তখন কেমন হবে এ দুনিয়া! সবচেয়ে বড় কথা হলো তখন কতটা অ্যাডভান্সড হবে AI গুলো! আর যারা এ.আই গুলো তৈরি করতেছেন তারা কতটা অ্যাডভান্সড হবে! সুতরাং একজন কম্পিউটার সায়েন্স এর স্টুডেন্ট হিসেবে— একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, বা একজন প্রোগ্রামার অথবা একজন ওয়েভ ডেভেলপার হিসেবে আমাকে কতটা দক্ষ হতে হবে তা কি কখনো কল্পনা করেছি?
নিজের স্কিল ডেভেলপ না করলে, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের উপর বেসিক ক্লিয়ার না থাকলে, ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্টি বলার বা লেখার দক্ষতা না থাকলে এই অত্যাধুনিক সময়ে শুধু অ্যাকাডেমিক বইপুস্তক পড়ে টিকে থাকা কি সম্ভব? যে কাজগুলো AI করে দিতে পারে সেই কাজগুলো কি মানুষ আমাকে টাকা দিয়ে করে নিবে? AI তো মানুষেরই বানানো। তাহলে মানুষ হিসেবে আমি যদি এর চেয়ে আরো বেশি স্কিলড সম্পন্ন হতে না পারি তাহলে কি হবে? আমার কি ডিমান্ড থাকবে? নিশ্চয়ই প্রশ্নগুলোর উত্তর হবে; না। তাহলে এখন আমার করণীয় কি?
অনেকেই এখন ভাবতে পারেন ভাইয়া মানুষ যে বলে কম্পিউটারের চাকরি নাই। তাহলে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে বা কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করে জীবনে কি ভুল করলাম?
জি, না ভাইয়া। ভুল করেন নি। তবে ডিসিশন মেকিং করতে দেরি করতেছেন। ইউ আর সো লেট টু মেইক ইয়োর ক্যারিয়ার ডিসিশন। ইউ নিড এ প্রোপার গাইডলাইনস। ইউ আর অন রাইট ওয়ে জাস্ট রিল্যাক্স এন্ড রিড দা এন্টার পোষ্ট বিলো। চাকরি নাই এমন টা মোটেও না। আর চাকরি কম্পিউটারের কেন হবে। চাকরি তো আপনার হবে। সুতরাং আপনি নিজেকে নিয়ে ভাবুন। আপনি সঠিক রাস্তায় আছেন জাষ্ট ক্যারিয়ার সম্পর্কে আপনার ধারনা নাই। সো ক্যারিয়ার ডিসিশন নিতে হলে নিচের পুরো পোষ্ট টা মন দিয়ে পড়বেন। পোষ্ট টা দুই অংশে বিভক্ত। প্রথমাংশ হচ্ছে– প্রগ্রামিং, ক্যারিয়ার এবং অ্যাডমিশন সংক্রান্ত বেসিক কিছু আলোচনা। আর দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে– যারা পোগ্রামিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান বা নিজেকে একজন প্রোগ্রামার হিসেবে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন শুধুমাত্র তাদের জন্য। চলেন মূল কথায় আসি..
আমাদের অনেকের ডিপ্লোমা শেষ হয়ে যায় বাট ডিসিশন নিতে পারি না পলিটেকনিক থেকে বের হয়ে আমি কি করবো। বুঝে উঠতে পারি না ডিপ্লোমায় চার চারটা বছরে আমি কি শিখলাম! নিজের মাঝে কি কি স্কিল ডেভেলপ করতে পারলাম! বের হয়ে জব করবো নাকি বিএসসি পড়ার জন্য অ্যাডমিশনে যাবো। ক্লাসের ৮-১০ জন বাদে বাকি সবারই সেইম অবস্থা থাকে।
এটা থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসা যায়, কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবা উচিত, কি কি বিষয়ে দক্ষ হওয়া উচিৎ, কোন কোন বিষয়ের উপর আমার ক্যারিয়ারের Goal সেট করা উচিত কোন বিষয়গুলোর উপর বেশি ফোকাস দেওয়া উচিত আজকে সেগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করি।
এ কথাগুলো ক্লাসের টপ ৮-১০ জন ছাড়া অন্যদের জন্য অধিকভাবে প্রযোজ্য যারা বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে সামনে আগালে আমি সুন্দর একটা ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবো। কোন দিকে যাওয়া উচিত। তো চলেন মূল কথায় আসি— শুরুতেই সবার উদ্দেশ্যে একটা ছোট্ট ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি সেটা হলো আপনারা চাইলে যে কেউ আমার লেখার সাথে কোনো তথ্য ইনক্লুড বা এক্সক্লুড করতে পারেন, দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, কোনো কিছু ভুল মনে হলে সুন্দর করে সঠিক টা বলে দিতে পারেন। তাহলে ইফেক্টিভ একটা আলোচনা হবে।
আমি চাই এক সাথে পরিপূর্ণ একটা আলোচনা হোক..।। সবকিছু খোলাসা হয়ে যাক। অনুজদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব গুলো দূর হয়ে যাক। একটা পরিপূর্ণ ধারনা পাক। আর আমার একার পক্ষে যেহেতু সব তথ্য নিয়ে আসা সম্ভব না তাই আপনারাও চাইলে আপনাদের অভিজ্ঞতা গুলো কমেন্টে অ্যাড করতে পারেন। আমি আমার অর্জিত পারিপার্শ্বিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার আলোকে যতটুকু সম্ভব লেখার চেষ্টা করছি। পুরো পোষ্টটা মন দিয়ে পড়তে আপনার ৪০ মিনিট সময় লাগতে পারে। আপনি এক ঘন্টা সময় হাতে রাখতে পারেন। তো বলতেছিলাম আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে কি রকম চিন্তাভাবনা করা উচিত।
প্রথমেই ভাবা উচিৎ ডিপ্লোমায় এসেছি মানে আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে এসেছি। সো আমার চিন্তাধারা একজন ইঞ্জিনিয়ারের মত হওয়া আবশ্যক। ডিপ্লোমা শেষ করে যদি কেউ বাবার বিজনেস কন্টিনিউ করতে চায় বা কেউ ইন্টারপ্রিনিওর হতে চায় এটা প্রশংসনীয়! বাট তার কাজের চিন্তাধারা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সিচুয়েশন আছে সেটাকে নরমালাইজেশন করলে হবে না। প্রত্যেকের ই আলাদা আলাদা স্বপ্ন আছে সে অনুযায়ী নিজেকে ভাবতে হবে। সে অনুযায়ী সামনে আগাতে হবে।
সো অ্যাজ এ কম্পিউটার সায়েন্স এর স্টুডেন্ট হিসেবে আমরা অবশ্যই চাই না যে আমি চার বছর পড়াশোনা করে এত কষ্ট করে ল্যাব করে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দিন শেষে আমি অফিসের কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করবো। আমাদের সবার মনে গুগল, অ্যামাজন, মেটা বা অ্যাপলে জব করার অ্যাম্বিশন বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকলেও সবার মনে একটা কমন স্বপ্ন থাকে— আমাকে অনেক বড় একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, তাইনা। কিন্তু আমরা কি একটু ভেবে দেখেছি একজন বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য আমাকে কি কি করতে হবে? কি কি শিখতে হবে? নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার লেখা আর প্রকৃতপক্ষে একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া দুটোই কি সেইম? না ভাইয়া, সেইম না। তাহলে এখন থেকে কি করবেন?
প্রথমেই অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার বিকল্প নাই। যতটা সম্ভব সিজিপিএ ভালো করতে হবে। আর প্রথম তিন সেমিষ্টারে স্যারেরা নন যেটুকু সিলেবাস পড়ায় সেটুকু খুব ভালো করে আয়ত্ব করা, প্রাক্টিস করা, নোট করে রাখা। তারপর পারলে আরো বেশি পড়া। তবে বেশি না পারলে সেটা নিয়ে কন্সার্ন হওয়ার দরকার নাই। বেশি চাপ নিলে দেখবেন শেষে কিছুই হলো না, দু'একটা শেষ হলেও ভালোমতো কিছুই আর্ন হলো না। ভালো কিছু অ্যাচিভ করতে পারলাম না। তাই অতিরিক্ত সিরিয়াস হওয়ার দরকার নাই।
যারা অ্যাডমিশনে আসে শতকরা ৯৭% স্টুডেন্ট সিলেবাস শেষ করে আসে না। কিন্তু তারাও চান্স পায়। তাই নন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নাই। সব থেকে বেশি জরুরি হলো ডিপার্টমেন্টের প্রতিটা সাবজেক্ট গভীর ভাবে পড়ার চেষ্টা করা, যদি এটা করতে পারি জব এ হোক আর অ্যাডমিশনে হোক ডিপার্টমেন্ট নিয়ে বাকিদের মতো মাথায় খুব বেশি প্রেসার থাকবে না।
কিন্তু,
আমরা ডিপ্লোমা শেষ করেও বলতে পারি না আমার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা কি! কি হতে চাই আমি। ডুয়েটে পড়ার কিংবা তারচেয়েও বড় বড় স্বপ্ন আমাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের স্বপ্ন না থাকার পেছনে কারণ হচ্ছে ক্যারিয়ার নিয়ে আমাদের তেমন আলোচনা সেমিনার বা কাউন্সিলিং হয় না। বড় ভাইয়েরা যেটুকু বলে তাদের কাছে শুনি। সেটাও সবাই পারি না। যার কারণে সবসময় ভাবি সিএসই'র চাকরি নাই। চাকরি হিউজ পরিমাণে আছে বাট সরকারি চাকরির নিয়োগ নাই, আছে তবে খুবই কম। বাট আমার প্রশ্ন হচ্ছে— একজন সিএসই'র স্টুডেন্ট হয়ে আপনাকে সরকারি চাকরিই করতে হবে এইটা আপনার মাথায় কে ইনপুট দিছে? সরকারি চাকরি নাই মানে কি আমি শেষ? আমার জীবন বৃথা? আমরা এসব নিয়ে কতজন সিনিয়র ভাইদের সাথে কমিউনিকেশন করছি?
আমাদের কমিউনিকেশন স্কিল খুবই খারাপ। সিনিওর দের সাথে যোগাযোগ রাখি না। আমরা এখনও মনে করি ডুয়েটিয়ানরা সময় দেয়না। এই ভাবনা সঠিক নয়। আসলে ক্লাস চলাকালীন সাইকেল গুলোতে সবাই খুব প্রেসারের উপর থাকে। তাই সময় দিতে পারেন না। তাছাড়া সবার সাথে পরিচিত হওয়ার প্রয়োজন হয় না। আপনার পরিচিত দু'একজনের সাথে কমিউনিকেশন রাখলেই এনাফ। যারা ডুয়েটে পড়ে তারাও ক'দিন আগে আপনার জায়গায় ছিল ডিপ্লোমা থেকে এসেছে। তাই ডুয়েটিয়ান হোক, আর জবের যেকোন বড় ভাই হোক তাদের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ রাখা জরুরি।
কমিউনিকেশন স্কিল কী, সংক্ষেপে যদি বলি তা হচ্ছে— আপনার মনের কথাগুলো আপনার অডিয়েন্সকে খুব আকর্ষণীয়ভাবে বুঝাতে পারা। এটা হতে পারে সরাসরি, অনলাইনে বা অফলাইনে। এটা একটা আর্ট একটা শিল্প এটা পরিশ্রম করে করে অ্যাচিভ করতে হয় একদিনে এটা অর্জন হয়না। এই স্কিলটা কতটা জরুরি সেটার জন্য একটা সহজ উদাহরণ দেই– মনে করেন, আপনি অনেক কাজ শিখেছেন, আপনার মাঝে অনেক স্কিল আছে, হটাৎ করে অনেক বড় একটা জব অফার পেয়েছেন, হাই রেঞ্জের স্যালারি। আপনি সাথে সাথে আপনার সি.ভি. ড্রপ করলেন, তারপর ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে ডাকা হলো। ইন্টারভিউ বোর্ডের স্যারেরা আপনাকে অনেক রকম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেছেন— এখন আপনি তাদেরকে কিভাবে বুঝাবেন যে আপনি প্রকৃত পক্ষেই একজন যোগ্য এবং স্কিল সম্পন্ন ব্যাক্তি। এই যে আপনার মনের কথাগুলো তাদেরকে সুন্দর ভাবে বোঝাতে পারা এটাই হচ্ছে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল।
ক্যারিয়ারে ফোকাস দেওয়ার জন্য প্রথম কাজ নিজের মাঝে স্কিল ডেভেলপ করা। আমি কি হতে চাই, প্রথমে নিজের লক্ষ নির্ধারণ করা। কম্পিউটার সায়েন্স এর স্টুডেন্ট হিসেবে অবশ্যই প্রোগ্রামিং দরকার। প্রোগ্রামিং ছাড়া আমার মনে হয় না আজকাল তেমন কোন ভ্যালু আছে। ডিপ্লোমা পড়ুয়াদের জন্য 'Anisul Islam' স্যারের C এন্ড C++ ল্যাংগুয়েজের ভিডিওগুলো এক্ষেত্রে ইফেক্টিভ ভূমিকা রাখতে পারে। এগুলো শেষ করে ফেলবেন নোট করবেন। তামিম শাহরিয়ার সুবিন ভাইয়ের প্রোগ্রামিং বইগুলো কিনতে পারেন। খুবই সুন্দর করে সহজ করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে লেখা। আপনি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
এছাড়া অনলাইনে অফলাইনে হিউজ রিসোর্স আছে, যারা ইংরেজি ভালো বুঝেন তারা W3 School, Greek For Greeks, GitHub, Programize এরকম সাইট গুলোতে পড়াশোনা করতে পারেন। এগুলো একদম ফ্রি তে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম দুইটা খুবই ভালো। আর প্রোগ্রামিং এর জন্য যেকোনো একটা ল্যাংগুয়েজ ভালো করে বুঝতে পারলে পরবর্তীতে অন্য ল্যাংগুয়েজ গুলো সহজ হয়ে যাবে।
কারণ সব ল্যাংগুয়েজ এর লজিক্যাল টার্মগুলো প্রায় সেইম শুধু ট্রাকচারাল কিছু ডিফারেন্স আছে। সাপোজ আপনি C অথবা C++ ল্যাংগুয়েজ ভালো করে শিখলেন প্রাক্টিস করলেন কোডিং শিখলেন তাহলে আপনার জন্য Python, Java এরকম অন্যান্য ল্যাংগুয়েজ গুলো ইজি হয়ে যাবে। জবের জন্যেও এগুলো মাষ্ট বি লাগবে। আর প্রোগ্রামিং এর বেজ ভালো না থাকলে জবে কিংবা অ্যাডমিশনে এসে প্রচুর বেগ পেতে হবে। একটা প্রোগ্রাম ১৪ মার্কসের। এটা না পারলে চান্স পাওয়ার লেভেলটা কতটা নিচে নেমে যায় চিন্তা করছেন কখনো?
প্রোগ্রামিং এ দুর্বলতা নিয়ে ডুয়েটে চান্স পেলেও পরবর্তীতে কান্না করা লাগে। প্রতিটা সেমিস্টারে প্রোগ্রামিং রিলেটেড সাবজেক্ট থাকবেই। কাজেই ডিপ্লোমায় প্রচুর সময় থাকে এই সময়গুলো কাজে লাগালে তার জন্য অ্যাডমিশন টেস্টে চান্স পাওয়া + ডুয়েটে ভালো রেজাল্ট করা ৪০% ইজি হয়ে যায়।
শুধু কি প্রোগ্রামিং ভালো পারলেই হবে? জব হবে? না, শুধু প্রোগ্রামিং দিয়ে জব হয় না। এর সাথে সিএসই 'র কোর সাবজেক্টগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা লাগবে। যেমন- Discrete Math, Data Structure, Database System, Networking, Operating System এগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা লাগবে। তার সাথে HTML, CSS, PHP Javascript, Note.js, এগুলো সম্পর্কেও ধারনা থাকা লাগে। সেই সাথে বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে কাজ করলে, ছোট ছোট প্রজেক্ট ডেভেলপ করার স্কিল থাকলে জব পাওয়াটা অনেক ইজি হয়ে যায়। আপনি যখন একদিকে এগিয়ে যাবেন তখন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। মনে করেন– আপনি প্রোগ্রামিং এ ভালো পারেন, আপনার রেটিং ১৩০০+ তখন দেখবেন অন্যান্য সাবজেক্ট গুলো শিখতে ছয় মাসও লাগবে না। সবকিছু খুব সহজ মনে হবে। কারণ মেইন জিনিসটাই আপনি আগে ভাল করে শিখেছেন।
আমি যতজনকে দেখেছি প্রোগ্রামিং এ ভালো করতো, নিয়মিত কোডিং করতো, কন্টেস্ট করতো তাদের রেটিং ১৩০০-১৫০০+ তাদের সবারই ডুয়েট থেকে বেড়ানোর আগেই জব হয়ে গেছে। অথচ তারা একটা দিক দিয়েই বেশি এগিয়ে গেছে। সুতরাং চাকরি নাই বলে ঘরে বসে থাকলে হবে না। নিজের উপর বা পড়াশোনার উপর রাগ করে গার্মেন্টস এ চলে গেলে হবে না, আপনি জানেন কি এটার কারণে দুর্নাম হয় ডিপ্লোমাহোল্ডারদের। সুতরাং নিজেকে প্রস্তুত করুন ইন শা আল্লাহ জবের অভাব হবে না।
আপনাকে যেটা ভালো লাগে সেটা নিয়ে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারেন। ওয়েভ ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো পারেন সেটাই করেন। তবে ভালো ভাবে করেন। নেটওয়ার্কিং ভালো লাগে সেটাই করেন, এটা নিয়ে প্রজেক্ট করেন, গ্রুপ ওয়ার্ক করেন, টিমে কাজ করেন, প্রব্লেম সলভ করেন, প্রোগ্রামিং ভালো লাগে কোডিং করেন, Code Forces এ সহজ সহজ প্রব্লেম সলভ করে রেটিং বাড়ান, ছোট ছোট কন্টেস্ট করেন এভাবেই এগিয়ে যান। একটা শেষ হয়ে গেলে আরেকটা সাবজেক্ট ভালো করে শিখেন। এভাবে নিজেকে একজন স্কিলড ফুল ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজ শুরু করছেন মানে দু'এক বছর পর দেখবেন আপনি অনেক ভাল পজিশনে চলে গেছেন। তবে নিয়মিত প্রাক্টিস করতে হবে। ধৈর্য লাগবে প্রচুর!
সেই সাথে আর একটা বিষয় যেটার জন্য অধিকাংশ স্টুডেন্ট হীনমন্যতায় ভুগে সেটা হচ্ছে— ইংরেজিতে দুর্বলতা। জব হলে প্রপার প্রেজেন্টেশন দিতে না পারা, ডুয়েটে চান্স হলে ইংরেজি বুঝতে না পারা, অ্যাডমিশনে ইংরেজি মাথায় না ঢুকা এসব কারণে খুব কষ্ট করতে হয়। এমন ও দেখেছি অনেকে অ্যাডমিশনে ইংরেজি পুরো বাদ দিয়ে দিতো। বাট স্যারেরা এখন ইংরেজিতে পাশ করা আবশ্যক করে দিছেন।
তাই যারা ডিপ্লোমার শুরুর দিকে আছেন পড়াশোনার প্রেসার কম তারা এই সময়ে ইংরেজি স্কিলটা ডেভেলপ করতে পারেন। এটা আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফে বাদ দেওয়ার অপশন নাই। যেখানে যান লাগবেই এটা। সো যত আগে পারি আমি যদি এই স্কিলটাকে আর্ন করতে পারি ততই আমার জন্য সুবিধা, তত বেশি প্রাক্টিস হবে।
[আর একটা অ্যাডিশনাল কথা এখানে বলে রাখি— কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট হয়েও অনেকেই বুঝেন না কিভাবে একটা মেইল পাঠাতে হয়, কিভাবে গুগল ড্রাইভ ইউজ করতে হয়, কিভাবে 2FA চালু করতে হয়, কিভাবে MS Word, MS Excel, Google Sheet ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এমনকি কিভাবে উইন্ডোজ সেটাপ দিতে হয় সেটাও অনেকে জানেন না। এরকম টুকিটাকি বেসিক জিনিসগুলো আগেই জেনে নিবেন। (অনেকেই আছেন বন্ধুর কাছে ফেসবুক আইডি খুলে নিছেন তারপর একই আইডি আপনিও চালান আপনার বন্ধুও চালায় বাট আপনি বুঝতেই পারেন না।) এটা আমার বাস্তব জীবনের একটা ঘটনা বললাম। আপনি এগুলো জানেন না বলে আপনাকে দোষ দিচ্ছি না। তবে এসব জানতে হবে; শিখতে হবে অনেক কিছু বুঝেছেন? প্রথমে এগুলো সম্পর্কে আমিও জানতাম না, সময় দিয়ে শিখেছি। যেহেতু আমাদের পড়াশোনার সাথে এ বিষয় গুলো সম্পৃক্ত তাই নিজে থেকে এগুলো জেনে নিবেন। ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন নাম ধরে ধরে সার্চ করলেই পাবেন।]
সর্বোপরি আমরা জীবনে যত বড়ই হন যত ভালো জায়গায় জব করেন কোনো সমস্যা নাই। তবে যাই করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করবেন। কারণ আমাদের দুনিয়া কামানোর জন্য আল্লাহ পাঠায়নি। দিন শেষে প্রত্যেককে কবরে যেতে হবে। কিন্তু জীবিকা অর্জনের জন্য দুনিয়াতে যা কিছুই করি এটা যদি হালাল উপায়ে হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়, দ্বীনের জন্য বা উম্মাহর কল্যাণের জন্য হয় এটাও ইবাদত হবে ইন শা আল্লাহ। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলেমগণের কাছে জেনে নিতে পারেন। আলেমগণের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন জীবন সুন্দর হবে। উলামায়ে কেরামের কাছে না যাবেন তো ইসলাম থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাবেন কিন্তু আপনি টেরও পাবেন না।
কারণ একমাত্র আলেমগণই হচ্ছে নবীগণের ওয়ারিশ। যারা আলেম বিদ্বেষী হয় তারা ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারে না, বেইমান হয়ে মারা যায়। তাই সর্বদা আলেমগণের সঙ্গে থাকবেন। আর আলেমগণের সাথে উস্তাদ-ছাত্র সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে, পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং তাকওয়াবান মানুষকে বেছে নিবেন। তাহলে দুনিয়া আখিরাত উভয়টা সুন্দর এবং কল্যাণকর হবে।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছানোই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। এটাই একজন ঈমানদারের প্রথম কাজ। দুনিয়ারটা গৌণ হিসেবে ধরে নিতে পারি। কাজেই কোনোকিছুর জন্য নির্দিষ্ট করে দুয়া না করে সবসময় দুয়া করবো যেখানে আমার কল্যাণ আছে আল্লাহ যেন সেটাই আমাকে দেন। যাতে আমি হালাল উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি। ধরেন আপনি একজনকে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে অনেক দুয়া কান্নাকাটি করার পর তাকে পেলেন, তারপর খুশি হলেন কিন্তু কিছুদিন পর বুঝতে পারলেন যা পেয়েছেন তা আসলে আপনি কখনোই চাননি। তাহলে কি হবে তখন বুঝতে পারছেন? তাই তাকদিরের বিষয়গুলো আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে রিল্যাক্স থাকবেন আর কল্যাণের দুয়া করবেন।
নিয়্যাত সহীহ থাকলে আল্লাহ পাক ব্যবস্থা করে দিবেন ইন শা আল্লাহ। একটা সতর্কতামূলক কথা সেটা হচ্ছে- অযথা অনলাইনে সময় নষ্ট করে আজে বাজে ভিডিও দেখে ফেসবুকে রিলস ভিডিও দেখে দেখে ব্রেইনের ক্যাপচারিং ক্ষমতা নষ্ট করলে জীবনে ভাল কিছু হবে না এটা মনে রাখবেন। এই সময় প্রযুক্তির সময়। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আপডেইট হচ্ছে, সুতরাং আপনাকে আমাকে সবাইকে নিজেদের স্কিল গুলো নিয়ে আপডেইট হতে হবে নিজের স্কিল গুলো প্রতিনিয়ত বাড়াতে হবে। অলস হয়ে ঘরে বসে থাকা যাবে না। বিশেষ করে আপনার আমার মত কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ট এর স্টুডেন্টদের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
সর্বশেষ যারা ডুয়েটে পড়বেন বলে স্বপ্ন দেখতেছেন, তাদের জন্য শুভকামনা। অ্যাডমিশনে এসে চান্স হলে আলহামদুলিল্লাহ না হলে কারো পরিশ্রম বৃথা যাবে না। আল্লাহ অবশ্যই অন্যদিকে ভালো কিছু দিবেন। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে সবার চান্স হবে না। তাকদিরে থাকলে তবেই হবে। ডুয়েটে আসন সংখ্যা যেহেতু নির্দিষ্ট তাই সবাই চান্স পাবে না এই তিক্ত বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। কম্পিটিশন মানেই সবাই চান্স পাবে না এটা খুব খারাপ লাগলেও মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই। একটা কথা ভালো করে মনে রাখতে হবে— জীবনে অনেক চাওয়া পাওয়াই আমার ইচ্ছে মত পূরণ হবে হবে না। দুনিয়া সব ইচ্ছে পূরণের জায়গা নয়। সকল ইচ্ছা তো একমাত্র জান্নাতেই পূরণ করে দিবেন আল্লাহ। দুনিয়াতে আমার একটা ইচ্ছে হয়ত পূরণ না হলো—
তাই বলে কি জীবন শেষ?
না ভাইয়া,
কোনোকিছুর জন্যই জীবন থেমে থাকে না। আমি আপনাদেরকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখাবো না। আপনাদেরকে এই বাস্তবতাগুলো বুঝে তারপরে আসতে হবে। নইলে দেখবেন লাইফে সামান্য হোঁচট খেলেই ভেগ্যে পড়বেন। আশে পাশের মানুষের কথা শুনলে কলিজায় আগুন ধরবে। কিন্তু এগুলোতে কর্ণপাত করা মোটেও ঠিক হবে না। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে ফায়সালা আল্লাহর পক্ষ থেকে যেটাই আসুক সেটার উপর সন্তুষ্ট থাকার নামই মু'মিন। মুমিন কখনো রিযিক নিয়ে প্রেশানিতে থাকে না।
মুমিন আল্লাহর উপরে তাওয়াককুল করে, কখনো হতাশ হয় না। কাজেই জীবনে ভাল মন্দ যাই হোক এটা মেনে নিতে হবে। আর অ্যাডমিশন টেস্ট এটা একটা কম্পিটিশন, সো নিজেকে সেভাবেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। ফ্রেস মন, সুস্থ শরীর চিন্তামুক্ত জীবন খুবই দরকার। এটার কমতি থাকলে সেটা আসার আগেই কাভার করতে হবে। নইলে ভালো ফিডব্যাক আসবে না।
আর একটা বিষয় আমরা হেজিটেশনে পড়ে থাকি যে কি করবো, অ্যাডমিশনে যাবো না কাজ শিখবো!! এটা ভাবতেই অনেকে হাল ছেড়ে দেয়। আর্থিক সমস্যা কারণে অনেকে আসতে চায় না। মনে রাখবেন মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবে। বাধা থাকবে। কষ্ট থাকবে, এগুলো নিয়েই মানুষের জীবন। নিজের ফিউচার আর ফেমিলির কথা চিন্তা করে নিজেকেই সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে। কষ্ট হবে তবে পরিশ্রমী মানুষ কখনো ব্যার্থ হয় না। আর দুনিয়া আরামের জায়গা না ভাই, সুখ শান্তি সব জান্নাতে।
দুনিয়াতে শুধু প্রেশানি। তবুও দুনিয়াতে এসেছি নিজের পরিবার সন্তান সন্তুতি নিজের দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে হবে তো তাই না? বসে থাকলে হবে না। বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দুয়া করতে হবে। ইন শা আল্লাহ, আল্লাহ পাক সহজ করে দিবেন। যারা বড় হয়, কষ্ট করেই বড় হয়। কাজেই নিজের স্বপ্নগুলোকে মা বাবা ভাই বোনদের সাথে বেশি বেশি ডিসকাশন করবেন। মা বাবাকে শেয়ার করবেন, মা বাবা কে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে সুন্দর করে দুয়া শিখিয়ে দিবেন বেশি বেশি দুয়া করতে বলবেন, মা বাবাকে রাতে উঠে নামাজ পড়ে আপনার জন্য বেশি বেশি দুয়া করতে বলবেন। তাঁরা সন্তানের জন্য দুয়া তো করেনি, তবুও মা বাবার কাছে বারবার দুয়া চেয়ে নিবেন। মা বাবার সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখবেন। জীবনে সফল হতে চাইলে মা বাবার দুয়ার চেয়ে বড় অস্ত্র দ্বিতীয় আর নাই। দুয়া কবুল হয়ে গেলে দেখবেন হটাৎ করে পথ খুলে দিবেন আল্লাহ তায়ালা। আপনার কাছে অসম্ভব- এমন বিষয়কে আল্লাহ পাক সম্ভব করে দিবেন। সো, টেনশন করবেন না ঠিকাছে।
যাদের স্বপ্ন আছে ডুয়েটের সবুজ ক্যাম্পাসে একদিন হেটে বেড়াবেন তারা প্রথমে নিজের স্বপ্নটাকে অন্তরে ধরে রাখেন। সেটাকে ইচ্ছায় রুপান্তরিত করেন। সে অনুযায়ী মনকে প্রস্তুত করেন। বড়দের সাথে বেশি বেশি ডিসকাশন করেন এটা নিয়ে। এ সময়ে মানসিক আর আর্থিক সাপোর্ট টা খুবই জরুরি। পরিবার থেকে সব থেকে বেশি জরুরি। তারপর নিজের প্রচেষ্টা। যাইহোক, সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। আমার বলা কোন কথা ভালো লাগলে বা উপকারী মনে হলে সেটাও ফলো করা যেতে পারে। এভাবেই দেখবেন একদিন আপনি আপনার লক্ষে পৌঁছে গেছেন। আপনি পারবেন ইন শা আল্লাহ।
জিজ্ঞেস করতে পারেন—
ভাই আপনি কি করছেন জীবনে। আপনার কি অবস্থা? আপনি কি খুব পারেন! আপনি তো অনেকক্ষণ থেকে বকবক করতেছেন।। ভাই, আমিও শিখতেছি, নিজেকে গড়ে তুলতেছি। আমি খুব ভাল স্টুটেন্ড না। কোন রকম চলে আর কি। আমার মত যারা ব্যাকবেঞ্চার ডিসিশন নিতে পারছেন না তাদের জন্যেই এ কথাগুলো শেয়ার করলাম। ☺
তো যাই হোক...
➤ ডিপ্লোমা পড়ুয়াদের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর:
১। ভাই, আমি ভালো স্টুডেন্ট না, ডিপ্লোমায় পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে কোন রকম পাশ করছি, আমি কি ডুয়েটে চান্স পাবো?
উত্তর: জি ভাই, আপনি পারবেন ইন শা আল্লাহ। বেশি ভাগ স্টুডেন্ট ডিপ্লোমায় এরকম-ই হয়। এক রাত পড়েই এরা এক্সামে কাঁপায় দিতে পারে। আর ডুয়েটে চান্স পেলে এরাই আগে পায়। কেননা এরাই গাজীপুর এসে দিনে ৮-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করে। সো, যদি পরিশ্রম করে শিখতে পারেন, আপনি চান্স পাবেন ইন শা আল্লাহ। এমনও দেখা যায় কোচিং-এ সব সময় ফার্স্ট হয় বাট তার চান্স হয়না আর যে কোনোদিনও সিরিয়ালে থাকতো না সে চান্স পেয়ে যায়। এরকম অনেক ঘটে।
২। ভাই, আমি তো ম্যাথ ফিজিক্স কেমিস্ট্রি কিছুই ভালো পারি না। ডিপ্লোমায় কি যে পড়েছিলাম কিছুই মনে নাই। আমার নন এ খুবই খারাপ অবস্থা, আমি জীবনে অনেক সময় নষ্ট করছি, আমার কি ডুয়েট অ্যাডমিশনে যাওয়া ঠিক হবে?
উত্তর: জি, ভাই। ডিপ্লোমায় যা শিখেননি অ্যাডমিশনে তা শেখার পর্যাপ্ত সময় পাবেন। যদি নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞা করতে পারেন ডিপ্লোমায় যে পরিমাণ সময় নষ্ট করছেন অ্যাডমিশনে এসে মন দিয়ে পড়বেন, তাহলে পারবেন। দিনে ১৬ ঘন্টা পড়ার দরকার নাই, নিয়মিত ৬-৮ ঘন্টা যদি পড়তে পারেন, আপনি ভালো করবেন ইন শা আল্লাহ। তবে শর্ত একটাই সময় অন্যায় ভাবে অন্যায় কাজকর্মে নষ্ট করা যাবে না।
৩। ভাই, আমার ফ্যামিলির ফিনান্সিয়াল প্রব্লেম আছে। ফ্যামিলি থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক সাপোর্ট দিতে পারবে না। বাট আমার খুব ইচ্ছে আছে অ্যাডমিশনে যাওয়ার। ডিপ্লোমা শেষ করলাম বাট আমার স্কিলও তেমন নাই। এমনকি আমার একটা কম্পিউটারও নাই। যদি চান্স না হয় তাহলে কি হবে তখন আমার?
উত্তর: ভাই সকলের রিযিক নির্ধারিত। তাকদিরে যতটুকু আছে শত চেষ্টা করলেও তার একবিন্দু বেশি এচিভ করতে পারবে না কেউ। অ্যাডমিশনে এসে ডুয়েটে চান্স না হলেও কারো জীবন বৃথা হয়ে যাবে না। জীবন চলে যায়। ডুয়েট একটা স্বপ্নের জায়গা। আসতে বলি একারণে- যেন পরে কেউ আফসোস না করে এই ভেবে যে ইশশ!! আমি অ্যাডমিশনে না গিয়ে ভুল করছি। গেলে হয়তো চান্স পাইতাম। বাট একটা কথা মনে রাখবেন- এটাই জীবনের সবকিছু নয়। যদি ফ্যামিলিকে বা কোনো বড় ভাই আপুকে বুঝিয়ে ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে আসেন। তাদের কাছে যতটুকু ফেভার নিবেন, জব হলে তাদেরকে উৎকোচ ছাড়া (সুদ মুক্ত) পুরোটা সম্মানের সহিত রিটার্ন দিবেন এভাবে স্পষ্ট করে তাদের সাথে কথা বলবেন। আপনার সিচুয়েশনে গুলো আপনাকেই ম্যানেজ করতে হবে ভাইয়া। তবে একান্ত সমস্যা থাকলে স্কিল ডেভেলপ করে জবে ঢুকে যান। এত সংগ্রাম করে আসার দরকার নাই। পরে প্রাইভেট থেকেও বিএসসি করে নিতে পারবেন।
৪। ভাই, অ্যাডমিশনে কতটাকা খরচ হয়, ফার্স্ট টাইমে কি চান্স হবে আমার? আমি ডিপ্লোমায় ৪র্থ/৫ম/৬ষ্ট/৭ম সেমিস্টারে পড়ি আমার কি করা উচিৎ এখন থেকে?
উত্তর: কি করবেন সেগুলো পোষ্টে বলে দিছি, না বুঝলে আবার ভালো করে পড়েন। আর প্রতি মাসে মিনিমাম ৫-৬ হাজার খরচ হয়, কোচিং ফি এককালীন ১২-১৪ হাজার, যদি দশ মাস থাকেন হাত খরচ+ অন্যান্য সব মিলে টোটাল ৮০ হাজার ধরে নিতে পারেন। ব্যাক্তি ভেদে কম বেশি হতে পারে। আর ফার্সটাইম চান্স না হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে— ফার্স্ট টাইমে অনেক ভুল থাকে, সিলেবাসটা খুব বড় মনে হয়। পর্যাপ্ত প্রাক্টিস করা হয় না যার কারণে ভুল হয় বেশি। তবে গত দু'বছরে দেখতেছি শর্ট থেকে (ফার্স্ট টাইমে) অনেক চান্স পাচ্ছে। মূলত এক্সাম হলে ঢুকার পর মাথার মধ্যে অনেক প্রেসার থাকে। আমি কি পারবো, চান্স না পেলে কি হবে আমার। চান্স না পেলে গ্রামবাসি আঁশপড়শি আত্মীয় স্বজনরা মা বাবাকে কি বলবে। পরীক্ষার আগে তো সবাইকে ফোন দিয়ে দুয়া নিছি চান্স না পেলে কেমনে মুখ দেখাবো সবাইকে। আমি কি পরাজিত! এরকম অনেক কথা মাথায় চেপে বসে। বাট নিজেকে স্বাভাবিক রেখে এক্সামের দু'ঘন্টা মাথা ঠান্ডা রেখে ভালো করে এক্সাম দিতে পারলে চান্স হবে ইন শা আল্লাহ। যারা কখনো কোচিং এ রেংকিং এই ছিল না তারাও চান্স পায়। তাই নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে। বাকি টা তাকদীর! আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে রিল্যাক্স থাকেন।
৫। ভাই, আমি তো কিছুই জানিনা, আমি কি করবো? কিভাবে পড়বো? আমার পরিচিত কোন সিনিয়র ভাই বা সিনিয়র বোন নাই, কিভাবে কি করবো?
উত্তর: বড়দের সাথে বেশি বেশি ডিসকাশন করেন। পরিচিত সেনিয়র ভাই আপু যারা আছে তাদের কাছে সময় নিয়ে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করেন। তাদেরকে খুঁজে বের করে পরিচিত হন, বোনেরা বড় আপুদেরকে, ভাইয়েরা সিনিয়র ভাইদেরকে হাদিয়া দেন। সময় চেয়ে নেন। আমি অজ্ঞ মানুষ এগুলো নিয়ে বড় ভাইয়েরা ভালো জানেন, তাদের কাছে জেনে নিবেন, যারা জব করে তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন বর্তমানে কোন ধরনের জবের চাহিদা বেশি। বোনেরা সিনিয়র আপুদের কাছে, ভাইয়েরা সিনিয়র ভাইদের সাথে বেশি বেশি যোগাযোগ রাখবেন। হাত গুটিয়ে রুমে বসে থাকলে কেউ এসে আপনাকে বলবে না। নিজেকেই সব খুঁজে নিতে হবে। বসে থেকে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করলে ভালো কিছু হবে না।
৬। ভাই, আমার মাথায় কিছু ঢুকে না। আমি কি করে সামনে আগাবো? আমি মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনে পড়ে যাই। কি করবো আমার দ্বারা কিছু হবে কি?
উত্তর: ডিপ্লোমায় সিজিপিএ ভালো করেন। ডিপার্টমেন্ট টা ভালো করে পড়েন। নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত জামাআতে আদায় করেন আর নিজের লাইফ স্টাইলকে সুন্নতের দ্বারা সাজায় ফেলেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন অর্ধেক সমস্যা সমাধান হবে। বাকিটা আপনার চেষ্টা পরিশ্রম আর দুয়ার ফসল। ফ্রেস মন, সুস্থ শরীর আর পরিশ্রমী হলে পারবেন ইন শা আল্লাহ। মন কোথাও চলে গেলে সবকিছু থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। আল্লাহর জন্য সবই ছাড়া সম্ভব। খারাপ সঙ্গ, বন্ধু, অভ্যাস, নেশা, আসক্তি এগুলো দূর করতে হবে। মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড়া কেউ আপনার আপন নয় শুধুমাত্র আপনার ফ্যামিলি ছাড়া। আপনার মা বাবা ছাড়া কেউ আপনাকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসবে না। আপনাদের এখন আবেগ বেশি! এটা এখন না বুঝলেও জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে ফিল করবেন- ফ্যামিলি ছাড়া কেউ আপন নয়। তাই পরিবারকে কখনো ভুলে যাবেন না। প্রয়োজনে পরিবারের ভালোর জন্য আপনার কিছু স্বপ্নকেও বিসর্জন দেওয়া লাগতে পারে। মন্দ কাজ থেকে ফিরে আসার জন্য বেশি বেশি তওবা করলে আল্লাহ তার উপর খুশি হয়ে যান। রিযিকের প্রস্ততা বাড়ায় দেন। হালাল রিযিকের পথ খুলে দেন। অন্তরে প্রশান্তি দান করেন। তাই এখন থেকে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে রাখেন। ফ্রেস মন নিয়ে আসবেন ইন শা আল্লাহ — "আল্লাহ চাইলে হাসিমুখে বাড়িতে যাবেন।"
৭। ভাই, আমার অ্যাডমিশনে যাওয়ার ইচ্ছে নাই, আমি জব করতে চাই, এক্ষেত্রে আমি কি করবো?
উত্তর: কারো ইচ্ছে না থাকলে জোর করে কেউ কি নিয়ে আসতে পারবে? নিশ্চয়ই না। আপনি সেক্ষেত্রে কাজ শিখবেন, নিজের স্কিল ডেভেলপ করবেন, দশম গ্রেডের অনেক চাকরী আছে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য, সেগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিবেন। অথবা পর্যাপ্ত স্কিল থাকলে বিভিন্ন আইটি সেক্টরে সফটওয়্যার ফার্মে কাজ করবেন। বেতন অনেক ভালো। তবে যদি জবের জন্যই গাজীপুর আসেন তাহলে আমি বলবো প্রথমে অ্যাডমিশনে আসাটাই বেটার হবে। কেননা তখন আপনার অনেক কিছু জানা হবে সাথে ডিপার্টমেন্ট ৮০% কাভার হবে। আর ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ম্যাথ পড়ার কারণে জবের জন্য জেনারেল সায়েন্সও পড়া হয়ে যাবে। মোট কথা আপনার বেসিক ক্লিয়ার হবে এবং কোনদিক থেকেই আপনার লস হবে না।
৮। ভাই আমার ফ্রেন্ডরা তো অনেক ভালো পারে। একবার দেখলেই তার হয়ে যায় বাট আমার তো বেসিক ই ক্লিয়ার নাই। সব মাথার উপর দিয়ে যায়। জীবন টা এলোমেলো, কি করবো এখন?
উত্তর: তোমার যে বন্ধু আজকে ভালো পারে সে কি হুট করে আজকে থেকেই ভালো পারে? না। সে ও তোমার মত একদিন শুরু করছিল, ছয় মাস এক বছর প্রাক্টিস করে করে আজ এ পর্যন্ত এসেছে। সুতরাং তার সাথে তোমার তুলনা করলে হতাশা বাড়বে। তাই তুমি আগে নিজে শুরু করো আর ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হতে থাকো। ভালো ফ্রেন্ডদের সাথে পরামর্শ করো। বড়দের কাছে গাইডলাইন নাও। এভাবে ছয় মাস একবছর শেষে দেখবা তুমিও ভালো পারতেছো। অনেকেই আছে একদিনে পুরো ফিজিক্স শেষ করে ফেলবে, প্রোগ্রামিং ভালো পারবে, ইংলিশে ভালো পারবে, সবদিকেই ভালো করবে, আবার পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টও ভালো করবে, ক্লাসে একটু বুঝাতেই সে পুরোটা বুঝে যাবে।
এসব দেখে তোমার হতাশায় ভুগলে হবে? ধরো তুমি পিছনে অনেক সময় অন্যায় ভাবে নষ্ট করছো সেটার কি একটা গ্যাপ থাকবে না তোমার জীবনে? তাই চিন্তিত হওয়ার কারণ নাই। এখন থেকে তুমি যতটুকু পারো সাধ্য মত চেষ্টা করে যাবা, একদিন তুমিও ওর মত পারবা। বাট হতাশা হীনমন্যতায় ভুগলে কোনো লাভ হবে না। একজন ১৬ ঘন্টা পড়ে পড়ুক তাই বলে তুমিও কি পড়বা? ভাই জীবনে যাই করেন কারো রুটিন হুবহু নিজের জীবনে কপি করবেন না। সে ভাল ছাত্র তার যে যে স্বপ্ন আছে অথবা সে যেভাবে চলাফেরা করে সেসব স্বপ্ন তোমারও থাকতে হবে বা তোমাকেও তারমতো হতে হবে এটা কখনোই করবেন না।
তবে হ্যাঁ লাইফে কম্পারিজন থাকতে হবে; সবার মধ্য থেকে যে বিষয়গুলো তোমার লাইফের জন্য সুইট্যাবল সেগুলো গ্রহণ করতে পারো। কিন্তু তুমি তোমার মতো করে তোমার রুটিন অনুযায়ী পড়বা। তুমি যতটুকু নিতে পারো ঠিক ততটুকুই পড়বা, বাট শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কিছু করলে হটাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে পাঁচ ছয়দিন নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বেশি দরকার নাই, কাজের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। তুমি দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা পড় এটাই এনাফ! তবে বাকি সময়টা অন্যায়ভাবে নষ্ট করা যাবে না।
মন ফ্রেস রাখতে হবে। নারী পুরুষ একসাথে চলাফেরা, ফ্রিমিক্সিং, বিএফ, জিএফ সম্পর্ক, এসবের দ্বারা মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। সমাজে আরও কিছু মুখরোচক কথা আছে যেমন- সে আমার ভাইয়ের মত, তিনি আমার বাবার মত, সে আমার ছোট বোনের মত, আমরা জাষ্ট ফ্রেন্ড আমাদের মনে খারাপ কিছুই নাই, আমাদের মন পবিত্র, সে আমার বেষ্টু, এই বিষয়গুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এখন আবার অনেকেই বলবেন একসাথে পড়ি অনেক সময় হেল্প নিতে হয় এ দুনিয়ায় অত হাজি হয়ে কি চলা যায়!! সমাজে চলতে গেলে অনেক সময় বন্ধুদের সাথেও মেশা লাগে। এরকম নিজেদের মত করে যুক্তি দেখাবেন। মনে রাখবেন শয়তানও কিন্তু আল্লাহ কে যুক্তি দেখিয়েছিল। আদম আ. সেজদা করেনি বরং অহমিকা করেছিল যার কারণে সে চিরজীবন বিতাড়িত এবং আগুনে জ্বলবে। সুতরাং মনের খাহেশাত পূরণ করার জন্য এসব মন গড়ানো কথা বলে আল্লাহর ফরজ বিধানকে তাচ্ছিল্য করবেন না।
যারা দ্বীন মেনে চলেন মোটামুটি প্রাক্টিসিং– দেখবেন কিছু নামধারী মুসলিম বড় ভাই আছে তারা বলবে এতই যদি ধর্ম মানো মাদ্রাসায় পড় নাই কেন, এখানে কেনো আসছো!! এরকম বিষয়গুলো খুব সেনসিটিভ! এগুলো নিয়ে আমি বলতে চাই না কারণ আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে খুবই স্ট্রিক্ট! তাই নিজে থেকে আলেমগণের কাছে জেনে নিবেন। একটা কথা মনে রাখবেন সবার আগে আমাদের ঈমান তারপর অন্যকিছু। আপনাকে একজন ছোট ভাই/বোন হিসেবে আজকে শুধু এতটুকু বলবো আল্লাহর জন্য হারাম ছেড়ে দিবেন আল্লাহ পাক হালালের ব্যবস্থা করে দিবেন। আর যারা বিয়ের আগে হারাম রিলেশন করে তারা জীবনেও মনে শান্তি পাবে না। হয়তো আপনার কাছে মনে হবে সে জীবনে কত আনন্দে আছে সারাক্ষণ চিল করে বেড়াচ্ছে বাট তাঁর মনে শান্তি থাকতে পারে না। এটা আমার কথা না, বড় মানুষদের কথা। অন্য জায়গায় মন থাকলে ফিডব্যাক ভাল আসবে না। বুঝেছেন?
৯। ভাই চান্স পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কতঘন্টা করে পড়তে হবে? আমি পড়তে বসলে খুব ঘুম ধরে আমি কি পারবো এভাবে পড়াশোনা করতে?
উত্তর: কত ঘন্টা পড়ে চান্স হয় এভাবে বলা মুশকিল! সবার ব্রেইনের ম্যাপিং সমান না। ফর এক্সামপল একটা জিনিস কেউ দুইবার প্রাক্টিস করলে আর ভুলে না, আর কেউ ছয়বার সাতবার প্রাক্টিস করেও ভুলে যায় তাই সময়টা ব্যাক্তি টু ব্যাক্তি ভিন্ন হয়। কেউ প্রতিতিন ছয় ঘন্টা পড়লে পড়াশোনা কাভার হয়ে যায় আবার কারো একদিন বা দুইদিন সময় দেওয়ার পর কাভার হয়। সো এটা সিম্পল লজিক! যার মাথায় ঢুকতেছে না তাকে বেশি সময় দিতে হবে। তবে কিভাবে পড়লে চান্স হয় সেটা বলতে পারি। প্রথমত বুঝে পড়তে হবে। ধরো, ফিজিক্সের ম্যাথ মুখস্থ না করে সেটার থিওরিটিক্যাল বিষয়গুলো সূত্রের প্রমাণসহ ভালো করে সব জেনে গেলে যেকোন ম্যাথ আসুক পারবা। এভাবেই পড়তে হবে। তাহলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। পরীক্ষায় তো আর হুবহু সব কমন আসবে না। কিছু প্রশ্ন সহজ আর কিছু লজিক্যাল টার্ম থাকবে। তবে বুঝে পড়লে সব পারবা আশা করি। আর কে কোন স্টাইলে পড়তেছে পড়ুক তুমি তোমার গতিতে তোমার স্টাইলে পড়ো এখন থেকে। এক্ষেত্রে সুন্নতের উপর আমল করলে রুটিন ছাড়াই সবকিছু সহজ হয়ে যায়।
আর একজন প্রকৃত মুসলমানের পুরো দিনটাই তো একটা রুটিন তাইনা? ফর এক্সামপল- কেউ রাত তিনটা পর্যন্ত পড়ে সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছে আর তুমি রাত দশটা এগারোটায় ঘুমায় গেলে ফজরে উঠে ফ্রেস মনে পড়তেছো। বাট দুজনের পার্থক্য হলো- তোমার ফজরের নামাজ হলো, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলো, সুন্নতের উপর আমল হলো, রোগব্যাধি থেকে হেফাজত থাকবা, সকালের সময়ের বরকত টা পেয়ে গেলা এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকবে না। মাথা ফ্রেস থাকবে, পড়াশোনা অনেক মজা লাগবে। ক্লাসে স্যার বুঝালে সহজেই বুঝতে পারবা। তোমার শরীর মন সবকিছু ভালো থাকবে। কেননা মেডিকেল সায়েন্সের মতে, সকালে উঠে কেউ যদি চায় তার মাঝে একটা ফ্রেশনেস ভাব থাকুক ফুরফুরে মেজাজ এবং সতেজ ভাব থাকুক কাজে পরিতৃপ্তি আসুক তাহলে তাকে রাত ১২ টার আগে কমপক্ষে এক ঘন্টা হলেও ঘুমাতে হবে। আর নয়তো সারাদিন চোখে ঢুলু ঢুলু ভাব থাকবে, দীর্ঘসময়ে মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টকর হবে। বেশি প্রেসার হয়ে গেলে মাথা ব্যাথা করবে। তাই ঠিকমতো সুষম খাওয়া, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম মানুষের খুব দরকার। নিজের লাইফ স্টাইল সবাই চেন্জ করতে পারে না। সেজন্য প্রথম প্রথম অনেক চেষ্টা পরিশ্রম মোজাহাদা করতে হবে।
১০। ভাই এত কথা না বলে সংক্ষেপে বলেন কিভাবে চান্স পাওয়া যাবে?
উত্তর: একটা কথা পড়েছিলাম- "তুমি নামাজকে ঠিক করো, নামাজ তোমার সবকিছুকে ঠিক করে দিবে" আমি সংক্ষেপে বলতে গেলে এটার জন্য আমি একটা নিয়ম ফলো করতে বলবো। তা হলো- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতে পড়বেন আর দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা নিয়ম করে পড়বেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতে পড়লে আপনার অটোমেটিক একটা রুটিন তৈরি হয়ে যাবে কোন নামাজের পর কোন কোন সাবজেক্ট পড়বেন। পারলে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন রাতে তাহাজ্জুদ পড়বেন, মন খুলে আল্লাহর কাছে দুয়া করবেন, কল্যাণের জন্য বেশি বেশি দুয়া করবেন। আর অবশ্যই সময়গুলো অন্যায় ভাবে কোনো হারাম কাজে ব্যায় করবেন না। গান বাজনা, নাটক, সিনেমা, মুভি এসমস্ত হারাম জিনিস থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবেন। ফলাফল হিসেবে আল্লাহ পাক আপনার অন্তরকে ভালো কিছু দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিবেন। আপনি নিজেকে নিয়ে হ্যাপি থাকবেন, দিন শেষে আপনি পরিতৃপ্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
১১। ভাই, DUET এ মোট কত সেমিষ্টার, বিএসসি শেষ করতে কত বছর লাগবে?
উত্তর: সর্বমোট ৭ টা সেমিষ্টার- ১/২, ২/১, ২/২, ৩/১, ৩/২, ৪/১, ৪/২ মোট সাড়ে তিন বছরের কোর্স। ভাবতেছেন ১/১ কোথায় গেলো? আচ্ছা বুঝায় বলতেছি- ডুয়েটে বিএসসি মোট সাড়ে তিন বছরের কোর্স। সাতটা সেমিষ্টার। ১/১ মানে প্রথম বছর প্রথম সেমিষ্টার। কিন্তু আর্কিটেকচার বাদে সব ডিপার্টমেন্টে ১/২ থেকে ক্লাস শুরু হয়। তাই সাড়ে তিন বছর লাগে। ডুয়েটে চান্স পেলেই ১/১ এর ক্রেডিট গুলো তার আর্ন হয়ে যায়। সেকারণে ১/১ এর ক্লাস হয়না। চান্স পেলে দেখবেন প্রায় তিন মাস পর ক্লাস শুরু হয়। অনেকে এ সময়টা স্কিল ডেভেলপ করে আর অনেকে আনন্দে আকাশে বাতাসে উড়তে থাকে। দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকলে সাড়ে তিন বছরেই বিএসসি শেষ হয়ে যায়। তবে আর্কিটেকচারের পাঁচ বছর লাগে ১/১—৫/২ পর্যন্ত পাঁচ বছর।
১২। ভাই, আমার অ্যাডমিশনে যাওয়ার খুব ইচ্ছে আছে, আপাতত বিটবক্স বইটা কিনেছি কিন্তু কিছুই তো বুঝি না, কি করবো, আমি ভাই ব্যাক বেঞ্চের স্টুডেন্ট আমি কি পারবো?
উত্তর: কি করবেন, আপনি আমার পোষ্টটা আবার পড়েন। তারপর বলেন কি করবেন। ডিপার্টমেন্ট ভালো করে পড়েন। পরিচিত কোন বড় ভাই থাকলে গাজীপুর এসে ঘুরে যান। দুইটা দিন ডুয়েটের আলো বাতাস গায়ে লাগলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে আশার আগে বাড়ি থেকে আমাদের জন্য রংপুরের কিছু নিয়ে আসিয়েন। ইন শা আল্লাহ পারবেন আপনি ভয়ের কিছু নাই ভাই।
১৩। ভাই, আমি অ্যাডমিশনে যেতে চাই বাট চান্স না পেলে বাড়ি থেকে টাকা পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দিবে। (বোনদের ক্ষেত্রে বিয়ে দিয়ে দিবে) বাড়ি থেকে বলতেছে একই সাথে অ্যাডমিশন+ স্কিল ডেভেলপ করতে। বাট এটা কি সম্ভব?
উত্তর: মানুষের কাছে সবই সম্ভব। কিন্তু দুইটা এক সাথে প্যারারারলি কন্টিনিউ করতে গেলে আপনাকে মানুষ থেকে রোবট হওয়া লাগবে। কন্টিনিউ করতে পারলেও ভালো করে একটাও অ্যাচিভ করতে পারবেন না। স্কিল আর অ্যাডমিশন দুইটা দুই রকম। বোনদের পক্ষে এটা আরো কঠিন। আর বাসা থেকে যাদের বিয়ে দিতে চায় বিয়ে করে ফেলেন, এটাতো ভালোই হবে। একটা দিক কম্পিলিট হয়ে গেল আপনার ঈমান আমল অনেকাংশে সেইফ থাকলো সাথে অর্ধেকদ্বীনও পূর্ণ হয়ে গেল। বাট যাকে বিয়ে করবেন সবকিছু আগেই জেনে নিবেন, বিয়ের পড়ে তিনি পড়াবেন কি না, বা পড়াশোনা করালেও চাকরি করতে দিবেন কিনা বা আপনি চাকরি করতে চান কিনা— এগুলো ইন্টারন্যাল বিষয় সব স্পষ্ট করে নিবেন তাহলে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। আর যাদের অ্যাডমিশনে আসার ইচ্ছে আছে তারা মা বাবাকে বুঝান যে- স্কিল তো পরেও ডেভেলপ করার সুযোগ থাকে বাট ডুয়েটে পড়ার সুযোগ সব সময় থাকবে না, একটাবার চেষ্টা করে দেখি। সর্বোপরি আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুয়া করুন যেখানে কল্যাণ আছে আল্লাহ যেন সেটাই দেন, সেটাই যেন সহজ করে দেন।
➤ ভাই, সাধারণত কি কি করণে চান্স হয় না?
অনেক ধরনের ভুলের কারণে চান্স হয়না। এ সমস্যা গুলো ব্যাক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে কমোন কিছু প্রব্লেম থাকে যার কারণে চান্স হয়না। তারমধ্যে কিছু ইন্টারপার্সোনাল আর কিছু পড়াশোনা রিলেটেড। ইন্টারপার্সোনাল বিষয়ে উপরে সামান্য কিছু বলেছি আর বেশি কিছু বলবো না। বলা ঠিক হবে না। বললে অনেকে মন খারাপ করবেন। সবার উদ্দেশ্যে শুধু এতটুকু বলবো- নিজেকে পবিত্র রাখুন, নিজের মনকে পবিত্র রাখুন, সকল হারাম ছেড়ে হালালের মধ্যে ফিরে আসুন, হালালের জন্য অপেক্ষা করুন ইন শা আল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে সম্মানিত করবেন। আপনার মুখে হাসি ফুটাবেন। বাকি কথাগুলো বুঝে নিবেন। আপনি এখন ছোট না, নিজের মাঝে ম্যাচিউরিটি নিয়ে আসুন। কোনো কিছুতে আটকে যাওয়া যাবে না। এটা যত তাড়াতাড়ি ফিল করতে পারবেন লাইফে তত বেশি সিরিয়াস হতে পারবেন। ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাস করতে পারবেন।
➤ বোনদের নিয়ে কিছু কথা: 🌺
বোনদের জন্য একটা কথা বলবো এ সময়ে আপনারা অনেককিছু বুঝে উঠতে পারেন না। অনেকের কাছে হেল্প নিয়ে থাকেন। বড়দের সাথে কথাবার্তা বলেন। সেই সুবাধে অনেকের সাথে একটা (সুসম্পর্ক*) গড়ে উঠে। আর অ্যাডমিশনে যাওয়ার পর বড় ভাইয়েরা ক্লাস নেয় নার্সিং দেয় কথাবার্তা হয়, তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকে। তাছাড়া ফ্রেন্ডদের সাথে নোট এক্সচেঞ্জ করে থাকেন। কে কেমন পড়তেছে সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। এক কথায় অ্যাডমিশনে– এ সময়টা আপনারা এক রকম অসহায়! অনেকের কাছে হেল্প চান বা অনেকেই আপনাদেরকে হেল্প করতে আসবে বাট খেয়াল রাখবেন সেটা যেন সে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।
একটা বিষয় না বললেই নয়, অনেক বোন আছে যারা প্রথম অ্যাডমিশনে যায় কোচিং-এ ভর্তি হয় ডুয়েটিয়ান ভাইদের সাথে চলাফেরা করে মনে মনে একটা ভালো লাগা কাজ করে, এভাবেই এক পর্যায়ে কোন ডুয়েটিয়ান ভাইকে পছন্দ হয়ে যায়। সম্পর্কটা ভাই থেকে আরো ঘনিষ্ট হতে থাকে। অনেকের ডুয়েট না হলেও একজন ডুয়েটিয়ানকে বিয়ে করার সুযোগ হয়ে যায়। বিয়ে করা নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নাই, আমি মন থেকে সাপোর্ট করি। বিয়ে করেন ভালো কথা তবে ডুয়েটিয়ান দেখেই পাগল হয়ে যাবেন না। ডুয়েটে পড়ে মানে সে অনেক কিছু! তার সাথে জুড়তে পারলে আপনার ভবিষ্যতও আলোকিত হবে এমনটা ভাবারও সুযোগ নাই। বিয়ে এসবের উপর নির্ভর করে না। তাই আগে দেখেন সে কেমন* তার পরিবার কেমন, যাচাই করেন, খোঁজখবর নেন তারপর বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পরে যেন আফসোস করা না লাগে সেটা খেয়াল রাখবেন।
অনেক বোন বাবা মা কে না জানিয়েই বিয়ে করে ফেলেন। পরবর্তীতে চান্স না হলে শোনা যায় সে সংসার আর টিকে নাই, ছেলে আর খোঁজ খবর নেয় না। যেহেতু কাউকে না জানিয়েই বিয়ে করেছেন কাউকে বলতেও পারেন না, সইতেও পারেন না, অর্থাৎ জীবনটা নরকে পরিণত হয়ে যায়। সারাজীবন কান্না করেন। এর দায় ভার কে বহন করবে? এটার জন্য কি ডুয়েটিয়ানরাই দ্বায়ী? না, আপনি নিজেই দ্বায়ী। তাহলে পরে সবাইকে কেন দোষ দেন? এমনটা কখনো করবেন না। ইসলাম কি এমনি এমনি মেয়েদের অলি (অবিভাবক) ছাড়া বিয়ে করা নাজায়েজ করছে? বোন, দ্বীন সম্পর্কে জানেন আগে। আপনারা অনেকেই পরে দ্বীনের বুঝ পাবেন বা অনেকেই দ্বীন মেনে চলবেন কিন্তু স্বামীকে আর পিওর মনটা উপহার দিতে পারবেন না। মনের কোন এক কোনায় আপনার একটা চাপা কষ্ট থেকেই যায়। তাই যতটা পারা যায় এখন থেকে গাইরে মাহরাম এড়িয়ে চলবেন। সবসময় গাইরে মাহরাম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। পারবেন তো ইন শা আল্লাহ?
মনে রাখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কাজ বা কোন কথাবার্তা আপনার জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবে না। যখন কেউ চান্স পায় না তখন খুব ভালো করে এ বাস্তবতাটা ফিল করে। কিছু বিষয় পরবর্তীতে জানা যায় যখন কোনো বোনের চান্স হয়না। বাকি কথাগুলো বুঝে নিবেন। তাই যতটা পারা যায় দূরত্ব মেইনটেইন করাই উত্তম। কারণ- "গাইরে মাহরাম কখনো নিরাপদ নয় যদিও সে দুনিয়ার মাঝে সবচেয়ে তাকওয়াবান মানুষ হয়ে থাকে, কেননা মানুষের মন দ্রুত পরিবর্তনশীল আর শয়তান সুযোগসন্ধানী।"
- ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহি.
[ভাই বোন সবার জন্যই এ সময়ে মোবাইল ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং! এখন থেকে ডিভাইস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করলে সহজ হবে। প্রয়োজনের বেশি ইউজ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। ডিভাইসকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করবেন, ডিভাইস যেন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ না করে। এ সময়ে অনেকেই স্মার্ট ফোন বাড়িতে রেখে বাটন ফোন ইউজ করে। এটা করতে পারেন আবার কেউ ফোন নিয়ে গেলেও বাক্সে তালা মেরে রেখে দেয়। যখন দরকার হয় তখন ব্যবহার করে। অ্যাডমিশনে বেশিভাগ অঘটন ঘটে এই ফোনের কারণে। এ সময় মনে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন থাকে মনে মনে সে ভাবে চান্স পেলে কতকিছু করবো! সে কল্পনায় রাজপুত্র হয়ে রাজকণ্যাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু যখন চান্স হয় না তখন তার হুঁশ ফিরে নিজেকে খুঁজে পায় লাইনচ্যুত অবস্থায়!! আর দেখতে পায় রাজকন্যাও অন্যরাজ্যে চলে গেছে। আমি আমার সময় এমনও কিছু ছেলেকে দেখেছি অ্যাডমিশনে গিয়ে সারাক্ষণ ভিডিও গেইম পাবজি, ফ্রিফায়ার, সিওসি নিয়ে পড়েছিল। পরে ভাইয়েরা জানতে পেরে এসে ফোন জমা নিয়ে গেছে। চিন্তা করেন মানুষ ভার্চুয়াল জগতে কতটা আসক্ত এখন!! আজকাল দেখবেন দুই বন্ধু গাড়িতে গেলে এখন গল্প করে না, দুজনে এখন ফোনে ব্যাস্ত থাকে!! আর আমরা তো সিএসই নিয়ে পড়ি ফোন সম্পর্কে একটু বেশিই জানি কি বলেন! সত্যি বলতে আমাদের আসল কাজে ম্যাচিউরিটি নাই! এসব কাজেই আমরা যথেষ্ট ম্যাচিউরড। যাইহোক যা কিছু বললাম সামনে প্রতিটা কথাই ফিল করবেন। কিন্তু আপনি এসব থেকে সতর্ক থাকতে পারবেন তো ইন শা আল্লাহ??]
আর পড়াশোনা বা এক্সাম রিলেটেড কি কি ভুল হয় সেটার জন্য জাষ্ট একটা ঘটনা বলি-
আমি এমনও ভুলের কথা শুনেছি একজন পরীক্ষার হলে গিয়ে ক্যালকুলেটর চাপে বাট কোনো কাজ করে না। যার কারনে সে ম্যাথম্যাটিক্যাল টার্মগুলো করতেই পারেনি। কিন্তু পরে বের হয়ে তার মনে হইছে সে আসলে ক্যালকুলেটর এর পাওয়ার অন করেনি। ফার্সটাইম পরীক্ষার হলে ঢুকার পর এতটাই মাথার মধ্যে চাপ থাকে যার কারনে এই রকম অনেক ভুল হয়। আবার কেউ এমন আছে- ক্যালকুলেটর চেপে যে মান আসছে সেটাই বসাই দিছে পরে বাসায় এসে দেখে ক্যালকুলেটরে সেইম জিনিস ভিন্ন মান দিচ্ছে। তো এখানে আসলে কার ভুল? এরকম অনেক ভুল হয় ফার্স্ট টাইমে। কখনো সূত্র লিখতে ভুলে যায়। কখনো সূত্র মনে থাকে না। কখনো মাঝের দুইটা লাইন মনে থাকে না। প্রাক্টিস কম হলে যেটা হয় আরকি। আর পরীক্ষার হলে চিন্তা করে লেখার সুযোগ পাবেন না। কারণ সেখানে জানা জিনিস গুলোই ভুলে যায়। তাই যা যা পড়বেন একদম স্পষ্ট করে পড়বেন। মনে করেন, একটা ম্যাথে আটকে গেছে আর দুইটা লাইন হলেই ম্যাথটার অ্যানসার চলে আসবে, আট মার্কস পাওয়া যাবে বাট সেইটাই আর মিলাতে পারছি না। এদিকে সেটার পেছনে আধাঘন্টা সময় চলে গেছে, শেষে কি হয় মাথা গরম হয়ে যায়- জানা জিনিসগুলো সব ভুল করে আসে। তারপর এই যে আফসোস! অনেক সময় এমনও হয় ডিপার্টমেন্টের প্রথম কুশেনটা খুব সুন্দর করে লিখতে গিয়ে শেষে জানা জিনিসগুলোর উত্তর লেখার সময় পায় না..
এ রকম শত শত ভুল হয় প্রথম প্রথম, চিন্তার কারণ নাই, এগুলো কোচিং-এ গেলে বড় ভাইয়েরা সব বলে দিবে..।।
তো এই হচ্ছে বেসিক কথাবার্তা, অ্যাডভ্যান্স লেভেলের কথাবার্তা বড়দের কাছে বা যারা জব করতেছে তাদের কাছে জেনে নিবেন। বেসিক নিয়ে এরকম কারো মনে। আর কোন প্রশ্ন থাকলে জানাবেন। ফিল ফ্রি টু আস্ক মি অ্যানি কুশেন।
পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, জীবনে যাই করেন না না কেন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই করবেন। পড়াশোনা করতেছেন আল্লাহর জন্যই করেন, ভালো জব করতেছেন আল্লাহর জন্যই করেন। সুন্নতের উপর আমল করতেছেন দ্বীন মেনে চলেন নামাজ কালাম পড়েন, পর্দা করে চলাফেরা করেন আল্লাহর জন্যই করেন, চান্স পাওয়ার জন্য বা একটা ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য নয়। আল্লাহকে ভয় করার মত ভয় করেন। যারা অ্যাডমিশনে আসার আগে থেকে অথবা অ্যাডমিশনে এসে খুবই পর্দানিশীন, নামাজি জামাআতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, দাঁড়ি রেখেছেন সুন্নতের উপর আমল করেন তারা ডুয়েটে চান্স পেয়ে পরিবর্তন হয়ে যাইয়েন না। পরিবর্তন হওয়া ভাল তবে সেটা যেন এমন পরিবর্তন না হয় যাতে আপনাকে মুসলিম হিসেবে চিনতেই মুশকিল হয়ে যায়। সো পজিটিভ চেন্জ হতে দোষ নাই। আশা করছি বাকিটা বুঝে গেছেন। আসলে নিয়্যাত পরিশুদ্ধ না থাকলে আমল কবুল হবে না বরঞ্চ পরকালেও এ কারণে শাস্তি পেতে হবে। তাই জীবনে যাই করি না কেন সবার আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি আছে কিনা বার বার ভেবে দেখব। আল্লাহ পাক আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। সবাইকে উত্তম রিযিক হালাল রিযিক প্রশস্ত রিযিকের ব্যবস্থা করে দিন। আমীন।
বেশি বেশি দুয়া করতে পারি-
১। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আ'ফিয়্যাহ।
২। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ই'লমান নাফিয়্যাহ ওয়া রিযকন তইয়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকব্বালা।
আপনারা দ্বীন সম্পর্কে অনেকেই ভালো জানেন। তবে, মনে রাখবেন— "জানার নাম কামিয়াবি নয়, মানার নাম কামিয়াবি।" তাই দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ সবাইকে। শুভ কামনা রইলো সকলের জন্য। সবার জন্য দুয়া থাকবে বিশেষ করে ছোটদের জন্য। এখন বলেন আপনার সময়গুলো কি গোল্লায় গেছে নাকি কিছু লার্ন করতে পারলেন! যদি কিছু লার্ন করতে পারছেন— আলহামদুলিল্লাহ সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কাছে পৌঁছে গেছে আর ভুল কিছু বলে থাকলে সেটা আমার পক্ষ থেকে তাই আমার কোন কথায় ভুলভ্রান্তি হলে বা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। আফওয়ান!
জাযাকুমুল্লাহ খ্বঈরান.
মাহমুদ,
সিএসই ৩/১, ডুয়েট.
সর্বশেষ আপডেইট: ০২.১২.২০২৪
______________________________________________
🟢 Problem Solving and coding:
এবার আসি প্রোগ্রামিং শেখা ও প্রবলেম সলভিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর:: যাদের প্রোগ্রামিং প্রতি খুবই আগ্রহ তারা এটা মন দিয়ে পড়েন। যাদের ইন্টারেস্ট নাই তারা এটা এড়িয়ে যেতে পারেন।
আমি সরাসরি প্রশ্নোত্তর আকারে সাজিয়ে লিখলাম যাতে সহজে বুঝতে পারেন। কিছু কমন প্রশ্ন যেমন:
১। ভাই, অনেক কিছুই তো বললেন, কিছু বুঝলাম আর কিছু মাথার উপর দিয়ে গেল। ভাই আমার প্রোগ্রামিং ভালো লাগে, জানতে চাচ্ছি প্রোগ্রামিং এর জন্য কি করব? প্রবলেম সলভিং শুরু করার জন্য সেরা সাইট কোনগুলো?
উত্তর: বর্তমান সময়টা কম্পিটিশনের যুগ, শুধু প্রবলেম সলভ করলেই হবে না বরং Competitive Programming এ দক্ষ হওয়া লাগবে। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সলভ করার জন্য জনপ্রিয় কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং সাইট গুলো বেছে নিতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেক ইন্টারন্যাশনাল মানের সাইট আছে সেখানে আপনি প্রব্লেম সলভিং করতে পারবেন। যেমন:
➤ Codeforces: *
সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ফ্রাটফর্ম। কোডফোর্স এমন একটি সাইট যেখানে নিয়মিত কনটেস্ট হয়। একেবারে নতুন যারা প্রোগ্রামিং জগতে আসে তাদের জন্যেও অনুশীলন করার মত অনেক প্রব্লেম আছে। আমি নিজেও এটাতে প্রব্লেম সলভ করি।
তাই আমি সবাইকে সাজেষ্ট করবো Codeforces এ প্রব্লেম সলভিং শুরু করে দেন। রেটিং বাড়ান। যত রেটিং বাড়বে ততই আপনার কনফিডেন্স বেড়ে যাবে, জব পাওয়ার সম্ভাবনা ততোই বেড়ে যাবে। যাদের রেটিং ১৮০০-২০০০ তাদের আইডি গুলো খুঁজে খুঁজে দেখেন মনে অন্যরকম একটা কনফিডেন্স আসবে।
➤ HackerRank:
দারুণ UI এবং পয়েন্ট সিস্টেম। হ্যাকার র্যাংকের সাইটের ইউআই থেকে শুরু করে প্রোগ্রাম সলভিং করে ব্যাজ বা পয়েন্ট পাওয়ার সিস্টেমটা বেশ ডায়নামিক লাগে, কোন কিছু সলভ করার পরে আসলেই মনে হয় যে কিছু একটা করতে পেরেছি!
➤ LeetCode:
ডাটা স্ট্রাকচার ও এলগরিদম শিখতে কার্যকর একটি প্লাটফর্ম। বিস্তারিত ইউটিউবে সার্চ করে বা গুগলে LeetCode লিখে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন।
➤ এছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক Competitive Programming বা CP প্লাটফর্ম আছে। আপাতত এগুলোতে সময় নষ্ট করার দরকার নাই। জাষ্ট নামটা জেনে রাখতে পারেন। যেমন:
TopCoder: প্রোগ্রামারদের জন্য বিশ্বের প্রথম এবং অন্যতম বৃহত্তর আন্তর্জাতিক মানের এবং নির্ভরযোগ্য একটি কোডিং প্ল্যাটফর্ম।
Coderbyte: এটি হলো একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা ডেভেলপারদের ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং টেকনিক্যাল রিক্রুটারদের প্রার্থীদের স্ক্রিন করতে সাহায্য করে।
CodeChef: কোডচিফ একটি অনলাইন কোডিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কোড শেখা, কোডিং অনুশীলন করা, এবং কোডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যায়। এখানে মাসিক লম্বা কনটেস্ট হয়।
Vjudge: এটি একটি অনলাইন প্রব্লেম সলভিং সাইট। এটাতে অনেকে দশটা বিশটা প্রব্লেম সলভ করে রাখে।
URI Online Judge: এটা কোডফোর্সের একটা অনলাইন জাজ, নতুনদের জন্য সহজ প্রবলেম সলভ করার জন্য, তবে কোডফোর্সেই সব পাবেন।
BeeCrowd: এটা সম্পর্কে আমার বিস্তারিত জানা নাই। এটা আপনাকেও এখন জানতে হবে না। এতটুকু জানি এখানে প্রব্লেম সলভ করা যায়।
LightOJ: বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন জাজ।
আসল কথা হলো! শুরুতে ভুলেও সবগুলো সাইট ঘুরে ঘুরে প্রব্লেম সলভ করতে যাবেন না। Codeforces আর নয়তো এগুলোর ভিতর আপনার যে সাইটটি ভালো লাগবে সেখানেই প্রব্লেম সলভ করতে থাকেন। তবে, বিগিনারদের জন্য আমার সাজেশন Codeforces বেষ্ট প্লাটফর্ম, নতুন যারা এখানে শুরু করে দেন।
২। প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করার জন্য কোন ভাষা নির্বাচন করা উচিত?
উত্তর: আমি যদি সিকুয়েন্স মেইনটেইন করতে বলি তাহলে বলব– প্রথমে C ভাষা ভালো করে আয়ত্ব করেন। সি সম্পর্কে বেসিক ক্লিয়ার থাকলে অন্য ভাষায় শিফটিং সহজ হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর মধ্যে C হচ্ছে কোর ল্যাংগুয়েজ। আর C++ হচ্ছে C ল্যাংগুয়েজ এর আপডেট ভার্সন। C এবং C++ এক সাথে শেষ করতে পারবেন। তারপন Python ল্যাংগুয়েজ শিখবেন। পাইথনে সিনট্যাক্স সহজ, খুব দ্রুত শেখা যায়। তারপর Javascript শিখবেন। এটি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। তারপর HTML, CSS, PHP শিখবেন। কেননা এগুলো হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রথম ধাপ। শুরু করা উচিত সহজ থেকে- HTML, CSS দিয়ে তারপর PHP, Javascript, Note.js এগুলো ডাইনামিক কাজের জন্য। Node.js আর Javascript ইউজ করলে Website দেখতে আরও সুন্দর লাগে মানে এক্সট্রা ফিচারস অ্যাড করা যায়। আর HTML, CSS দিয়ে সাধারণ বেসিক ডিজাইন করা যায়। তবে সবার আগে প্রোগ্রামিং শিখবেন। C, C++, Python, Java তারপর অন্য ল্যাংগুয়েজ গুলো শিখবেন।
৩। প্রোগ্রামিং শেখার জন্য সেরা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ কী কী?
উত্তর: ফ্রি ইংরেজি রিসোর্স অনেক আছে তন্মধ্যে দুটি পপুলার সাইট আমি এখানে ইনক্লুড করতেছি:
i. W3Schools: প্রোগ্রামিং শেখার সেরা একটি সাইট। এখানে তাদের ওয়েবসাইটেই কোডিং করতে পারবেন। কম্পিউটার সায়েন্সের সব সাবজেক্টই আছে এখানে। আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু ফ্রিতে শিখতে পারবেন। সাইটটা সবার জন্য উম্মুক্ত। সুন্দর করে বিষয়ভিত্তিক সবকিছু সাজানো।
ii. Greek For Greeks: এটা অন্যতম একটা জনপ্রিয় সাইট। বেসিক্যালি এটাও ফ্রি সাইট এবং কম্পিউটার সায়েন্সের সবকিছু এখানে শিখতে পারবেন। এখানে কোডিং করতে পারবেন এবং প্রতিটা কোড রান করে দেখতে পারবেন। বিষয়ভিত্তিক সবকিছু সাজানো আছে।
এ দুটি ইংরেজি ভার্সন। তবে কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে ChatGPT থেকে হেল্প নিবেন। ChatGPT কোডিং এর জন্য খুবই ভালো রেসপন্স করে। এমনকি প্রতিটি লাইন আপনাকে বাংলায় ইক্সপ্লেইন করে দিতে পারে।
এছাড়া GitHub থেকে হেল্প নিতে পারেন। গিটহাব হচ্ছ ডেভেলপারদের জ্ঞানগুলো অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি ফ্রি প্লাটফর্ম। যেকোন বিষয়ে আপনি গুগলে সার্চ করলে গিটহাব থেকে সাজেশন আসবে। এখানে অন্যের সলভ করা বড় বড় প্রজেক্ট, কোডিং সবকিছুই পাবেন। আর উপরের সবগুলো সাইটে জিমেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবেন।
➤ এখন আসি বাংলা রিসোর্স সম্পর্কে:
বাংলার জন্য ইউটিউবকে আপাতত টিচার হিসেবে মেনে নিতে পারেন। ইউটিউবে এখন হিউজ চ্যানেল আছে তবে সবগুলো কোয়ালিটি সম্পন্ন নয়। কিছু আছে বাহিরের দেশের। বাংলা চ্যানেল খুব বেশি নাই। আমি দু'একটির নাম উল্লেখ করবো:
Anisul Islam: ✔
আনিসুল ইসলাম স্যারের ভিডিও দেখে দেখেই আমি প্রগ্রামিং শিখেছি। আর বেশি কিছু বলব না আপনি নিজেই দেখে নিবেন বাকিটা। আরো কিছু বাংলা চ্যানেল আছে খুঁজে নিবেন। একসাথে সব বলে দিলে মাথায় কিছু ঢুকবে না। যখন দরকার হয় বড় ভাইদের জিজ্ঞেস করলে বলে দিবে।
Learn with Sumit: এটা পপুলার একটি মাধ্যম।
Book: হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং" বা "প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস" পড়তে পারেন। এছাড়া তামিম শাহরিয়ার সুবিন ভাইয়ের প্রোগ্রামিং বইগুলো পড়তে পারেন। একদম শুরু থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেখিয়েছেন। আশা করি সহজেই বুঝতে পারবেন।
➤ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে শেখার উপায়:
Programming Hero: মোবাইলেই কোড প্র্যাকটিস করা যায়।
Coding C++: এটাতে সি প্রোগ্রামিং কোড করা যায়। এছাড়াও শত শত অ্যাপ আছে এগুলো প্লে স্টরে সার্চ করে জেনে নিবেন।
SoloLearn: সহজ কোর্স এবং প্র্যাকটিসের জন্য।
আর যদি এসব কিছু না ভেবে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে একদম শুন্য থেকে প্রোগ্রামিং শিখতে চান তাহলে ফাইট্রনের ১ বছর মেয়াদি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সটি দেখতে পারেন। গুগলে Phitron লিখে সার্চ করলে ওয়েব সাইট চলে আসবে।
আর কেউ যদি মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে চায়, ইনকাম করতে চায় তাহলে Bongo Academy থেকে জোবায়ের ভাইয়ের Programming Zero to Hero Android App Development কোর্সটা করতে পারেন। জোবায়ের ভাই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পুরুষ্কার প্রাপ্ত একজন দক্ষ অ্যাপ ডেভেলপার। কোর্সটিতে ৩টি সিজন আছে, Season1, 2, 3। এটা করলে যে কেউ মোবাইলের অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বেসিক টু অ্যাডভান্সড সব জানতে পারবেন। কোর্স টা এমনভাবে সাজানো কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট না হলেও যে কেউ এই কোর্স করে টাকা আর্ন করতে পারবে।
৪। প্রোগ্রামিং শেখার ধাপ কী হতে পারে? কোনটার পর কোনটা শেখা ভালো হবে?
উত্তর:
বেসিক ভাষা শেখা: C → C++ → Python → Java.
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: HTML → CSS → JavaScript → Node.js
প্রগ্রামিং এর সাথে সাথে ডাটা স্ট্রাকচার ও এলগরিদম শিখতে হবে, না হলে অ্যাডভ্যান্স লেভেলের প্রগ্রাম সলভ করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
প্র্যাকটিস প্ল্যাটফর্ম: Codeforces, Hacker Rank বা LeetCode এ প্রবলেম সলভ করবেন। তবে নতুনদের জন্য আমার সাজেশন থাকবে Codeforces এ শুরু করেন।
৫। প্রোগ্রামিং শিখে কী করা যায়? কি হবে এত কষ্ট করে প্রোগ্রামিং শিখে?
উত্তর: এটা নিয়েই তো এতকিছু লিখলাম। কি কি করবেন বুঝতেছেন না। প্রোগ্রামিং শিখে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট Android/IOS অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন। ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন বা ডেস্কটপ সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন। IOT বেজড ডেভেলপমেন্ট বা স্মার্ট ডিভাইসের জন্য সিস্টেম তৈরি করতে পারবেন। যেখানে একটা ডিভাইস প্রোগ্রামিং দিয়ে অটোমেটিক চলবে। এছাড়া যেটার জন্য দিন রাত কষ্ট করতেছেন- অনেক বেতনের একটা চাকরি। প্রোগ্রামিং শিখে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল সফটওয়্যার কোম্পানিতে হাই স্যালারি রেইঞ্জের চাকরি পাবেন। সহজে বললে টাকার অভাব হবে না জীবনে।
৬। ভাইয়া, কিভাবে শিখবো? নিজে নিজে কি শেখা শুরু করা যায়?
উত্তর: জি, নিজে নিজেই তো শিখবেন। কোড কি হাতে ধরে ধরে শেখার জিনিস। কোড নিজেকে শিখতে হবে। আপনি বিভিন্ন সোর্স থেকে হেল্প নিবেন। কোনকিছু না বুঝলে ইউটিউবে সার্চ করবেন। না বুঝলে এই পোষ্টটা আবার পড়েন।
৭। শিখতে শিখতে মনোযোগ ধরে রাখার টিপস কী? শুনেছি কোডিং শুরু করলে কিছুদিন পর মনোযোগ থাকে না। এটার কারণ কি?
উত্তর: প্রথম ধাপে সহজ এবং ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। নির্দিষ্ট একটি সাইট বেছে নিয়ে সেখানে লেগে থাকুন। কনফিউজড হলেও হাল ছেড়ে দেবেন না। নিয়মিত কোড লিখে প্র্যাকটিস করুন। আর সবসময় বড়দের সাথে কন্টাক্ট রাখবেন। গাইডলাইন নিবেন। সুযোগ হলে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলোতে ঘুরতে যাবেন। প্রোগ্রামারদের বেতন সম্পর্কে আপনার ধারনা আছে কিনা জানি না। প্রোগ্রামিং সবাই পারে না। যারা পারে তারাই তো কম্পিটিশনে টিকে থাকে। এটা কি সবার দ্বারা পারার জিনিস! যাদের প্রচুর ধৈর্য্য আর চেষ্টা থাকবে তারাই শেষ পর্যন্ত সাকসেস হবে।
৮। অফলাইনে কোন অ্যাপ বা টুল দিয়ে শুরু করা ভালো? আমি তো এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানি না?
উত্তর: জানা না থাকলে এখন জানেন। শিক্ষার কি বয়স আছে। শিক্ষার কোন বয়স নাই শিক্ষার কোন শেষ নাই।
✪ কোড এডিটর:
অনলাইন কোডিং এর জন্য Programize ভাল। আর Replit, CodePen, XAMPP, Web Development এর জন্য ভাল। বিস্তারিত Online Compiler লিখে নেটে সার্চ করলে শত শত সাইট পাবেন।
✪ অফলাইন কোড এডিটর এবং ভালো মানের আইডিই (IDE) অনেক আছে জনপ্রিয় কয়েকটি হচ্ছে:
i. CodeBlock: এটি ওপেনসোর্স ক্রোস প্লাটফর্ম সবার জন্য উম্মুক্ত; জনপ্রিয় একটি ফ্রি সফটওয়্যার।
ii. Visual Studio Code: এটা প্রথম প্রথম বুঝতে কষ্ট হতে পারে তাই কোডব্লকস দিয়ে শুরু করেন।
iii. PyCharm: এটা Python programing এর জন্য। Python 3.11 এটাও ভাল। এছাড়া আরো IDE আছে সেগুলো এখন লাগবে না।
➤ পরিশেষে:
যেখান থেকেই শুরু করেন, মূল কথা হলো শুরু করেন এবং লেগে থাকেন। ভালো কিছু হবে ইন শা আল্লাহ। যারা কষ্ট করে এতটা সময় নিয়ে পেষ্টটা পড়েছেন সকলেই জানাবেন উপকারী কিছু শিখতে পারলেন কিনা। দুয়া চাই সকলের কাছে। Happy Coding! 😊
_______________________________________________
➤ Some Paid Sources if you want to buy:
1. Udemy
Offers a wide range of courses across different programming languages, frameworks, and technologies. Courses for beginners to advanced levels
2. Coursera
Provides university level courses and certifications from institutions like Stanford, MIT, and Google. Guided projects, degree programs, and certificates. Courses led by professors and industry experts. Financial aid available for some courses.
3. edX
Offers high-quality courses from top universities and institutions. Professional certificates and MicroMasters programs
4. Pluralsight
Focuses on tech and development skills, including programming.
5. Bongo Academy:
Zero to Hero in Android Appp Development. (Season: 1-3)
Season-1: Basic for Beginners.
Season-2: Advance for Intermediate App Developers.
Season-3: Advanced Programming for Apps Developers.
6. Codecademy Pro:
Interactive coding exercises and real world projects. Guided career paths, certificates, and step by step lessons.
7. DataCamp:
Data science, machine learning, and Python. Interactive coding challenges, career tracks, and beginner friendly courses.
8. LinkedIn Learning:
Programming, web development, and soft skills for developers.
9. Skillshare and FreeCodeCamp:
Beginner to intermediate coding and tech related skills. Learn coding step by step.
10. Team Treehouse:
Web development, UX design, and coding
Thanks for your patience. Ma'assalaam..🤍
Watch the video & listen the sound. Click middle for play.



Comments
Post a Comment